যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পটভূমি
১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশেষ গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সৃষ্টি হয়। যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৮১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮২ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে বিলুপ্ত করে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। ১৯৮৪ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তর।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রাণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিম্নবর্ণিত কার্যাদি বাস্তবায়ন করে:-
* যুবদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।
* প্রশিক্ষিত যুবদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিতকরণে ঋণ সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
* আত্মকর্মী যুবদের উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান।
* দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুবদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে যুব সংগঠন নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
* যুবদেরকে দায়িত্বশীল, আত্মবিশ্বাসী ও মানবিক গুণাবলী অর্জনে উৎসাহ প্রদানে কর্মসূচি গ্রহণ।
* ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন অনুশীলনে অধিদপ্তরের কার্যক্রমে উদ্ভাবন, সেবা সহজিকরণ এবং সেবা ডিজিটাইজকরণ।
* সফল আত্মকর্মী ও যুব সংগঠকদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান এবং অন্যান্য যুবদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান।
* প্রান্তিক ও NEET যুব-জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ।
উদ্দেশ্যাবলি:
* যুবদের ন্যায়নিষ্ঠ, আধুনিক জীবনবোধসম্পন্ন, আত্মত্মমর্যাদাশীল ও ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা;
* যুবদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা;
* যুবদের মানবসম্পদে পরিণত করা;
* যুবদের মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
* যুবদের যোগ্যতা অনুযায়ী পেশা ও কর্মের ব্যবস্থা করা:
* যুবদের অর্থনৈতিক ও সৃজনশীল কর্মোদ্যোগে এবং ক্ষমতায়নে উৎসাহিত করা;
* ক্ষমতায়নের মাধ্যমে যুবদের জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে সক্রিয় ভূমিকা পালনে সক্ষম করে তোলা;
* স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবদের সম্পৃক্ত করা;
* পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ জাতি গঠনমূলক কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবী হতে যুবদের উৎসাহিত করা
* সমাজের অনগ্রসর এবং শারীরিক-মানসিক বা অন্য যে কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষের প্রতি যুবসমাজকে সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল করে তোলা;
* বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যুবদের অধিকার নিশ্চিত করা;
* জীবনাচরণে মতাদর্শগত উগ্রতা ও আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিহারে যুবদের উদ্বুদ্ধ করা;
* যুবদের মধ্যে উদার, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও বৈশ্বিক চেতনা জাগ্রত করা;